প্রশ্ন : একজন অধ্যক্ষ বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির জন্য কোন কোন গুরুত্বপূর্ণ পুস্তক বা নির্দেশিকা থাকা অপরিহার্য?
উত্তর: একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য অধ্যক্ষকে বা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ পুস্তক, বিধিমালা ও নির্দেশিকাগুলো অবশ্যই সংগ্রহে রাখতে হবে:
১. আর্থিক ক্ষমতা অর্পণ (সর্বশেষ সংস্করণ): এটি আর্থিক লেনদেন ও ব্যয়ের ক্ষেত্রে বিভিন্ন কর্মকর্তার ক্ষমতার সীমা নির্ধারণ করে। এর সর্বশেষ সংস্করণ (সাধারণত ২০১৫ সালের) অনুসরণ করা হয়।
২. জেনারেল ফিনান্সিয়াল রুলস (GFR): সরকারি আর্থিক লেনদেনের মূল ভিত্তি। এতে অর্থ ব্যবহারের সাধারণ নিয়মাবলী ও পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত নির্দেশনা রয়েছে।
৩. ট্রেজারী রুলস: সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ উত্তোলন, জমা ও সংরক্ষণের নিয়মকানুন এই বিধিমালায় লিপিবদ্ধ আছে।
৪. বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস (বিএসআর): সরকারি কর্মচারীদের বেতন, ছুটি, ভাতা, পেনশনসহ অন্যান্য চাকরির শর্তাবলী এতে বর্ণিত আছে।
৫. এস্টাব্লিশমেন্ট ম্যানুয়াল (খণ্ড-১ ও ২): এটি মূলত প্রশাসনিক ও সাংগঠনিক কাঠামো এবং কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি, শৃঙ্খলা ইত্যাদি বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়।
৬. পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (PPR): সরকারি কেনাকাটা বা ঠিকাদারী কাজের ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নিয়মাবলী এখানে বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করা আছে। এর সর্বশেষ সংস্করণ (২০০৮) অনুসরণ করা হয়।
৭. মূসক (VAT) ও আয়কর (Income Tax) পরিপত্র: বিভিন্ন সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) থেকে জারি করা মূসক এবং আয়কর সংক্রান্ত সর্বশেষ সার্কুলার ও আদেশগুলো থাকা প্রয়োজন।
৮. শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র: শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে সময়ে সময়ে জারি করা বিভিন্ন পরিপত্র ও আদেশ (যেমন, টিফিন বিল, বিভিন্ন ভাতা সংক্রান্ত) সংগ্রহে রাখা অপরিহার্য।
৯. জাতীয় বেতন স্কেলসমূহ: সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য নির্ধারিত বেতন স্কেল (শুরু থেকে সর্বশেষ ২০১৫ পর্যন্ত) সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।
এই প্রকাশনাগুলো অনুসরণ করে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ব্যবস্থাপনা আরও স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল করা সম্ভব।