যারা ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করেছ, তাদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে। বিশেষ করে, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে পড়তে অনুরোধ করা হচ্ছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি একাদশ শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদনের নিয়মাবলী সুস্পষ্ট করেছে। ভুল তথ্যের কারণে যেন কোনো শিক্ষার্থীর ভর্তি প্রক্রিয়া আটকে না যায়, সে জন্যই এই জরুরি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য একনজরে
- বিষয়: একাদশ শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় শুধুমাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ‘সন্তান’ আবেদন করতে পারবে। ‘নাতি-নাতনি’ এই কোটার জন্য যোগ্য নয়।
- সমস্যা: অনেক শিক্ষার্থী নাতি-নাতনি হওয়া সত্ত্বেও ভুলবশত এই কোটায় আবেদন করেছে বা কলেজের নিশ্চায়ন সম্পন্ন করেছে।
- করণীয়: যারা এই ভুলটি করেছ, তাদের আজই (১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করে পূর্বের আবেদন/নিশ্চায়ন বাতিল করতে হবে এবং নতুন করে সাধারণ মেধাতালিকায় আবেদন জমা দিতে হবে।
- কর্তৃপক্ষ: আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।
মূল বিষয়টি কী?
শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত ‘একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০২৫’ এর উপধারা ৩.২-এ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে যে, মুক্তিযোদ্ধা কোটার (৫%) সুযোগ কেবল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত। এই নীতিমালায় নাতি-নাতনিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
কিন্তু বোর্ড লক্ষ্য করেছে, বেশ কিছু আবেদনকারী নাতি-নাতনি হওয়া সত্ত্বেও এই কোটায় আবেদন করেছে। যেহেতু এটি নীতিমালাবিরোধী, তাই এই আবেদনগুলো বাতিলযোগ্য।
এখনই যা করতে হবে
যেসব শিক্ষার্থী ভুলবশত নাতি-নাতনি পরিচয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আবেদন করেছ বা নিশ্চায়ন সম্পন্ন করেছ, তাদের জন্য করণীয়:
১. দ্রুত যোগাযোগ: আজ, অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (সোমবার) তারিখের মধ্যেই নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডে সরাসরি যোগাযোগ করতে হবে।
২. আবেদন বাতিল: বোর্ডে উপযুক্ত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আগের ভুল আবেদনটি বাতিল করার জন্য অনুরোধ জানাতে হবে।
৩. নতুন আবেদন: আবেদন বাতিলের পর সাধারণ কোটায় নতুন করে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি জানিয়েছে, এই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন সংশোধন না করা হলে পরবর্তীতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় কোনো জটিলতা সৃষ্টি হলে বোর্ড কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে না। তাই নিজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতে দেরি না করে আজই পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
যারা সঠিক কোটায় আবেদন করেছ তাদের জন্য
যেসব শিক্ষার্থী মুক্তিযোদ্ধা কোটায় (সন্তান হিসেবে) সঠিকভাবে নির্বাচিত হয়েছ, তাদের ভর্তির সময় অবশ্যই নিম্নোক্ত প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে:
- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত সনদপত্র বা সরকারি গেজেটের সত্যায়িত কপি।
- ভর্তির সময় মূল কপিও প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে।
সঠিক প্রমাণপত্র দেখাতে ব্যর্থ হলে ভর্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।
ভর্তি প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে সঠিক তথ্য জেনে ও নীতিমালা অনুসরণ করে আবেদন করলে পুরো প্রক্রিয়াটি সকলের জন্য মসৃণ ও সুন্দর হবে।
তথ্যের উৎস: আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি কর্তৃক ৩১ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি (স্মারক নং: ঢাশি বো/কলেজ/প্রশাসন/২০২৫/৬৭৮)।