আগামী ৭ সেপ্টেম্বর (রবিবার) থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সকল একাডেমিক কার্যক্রম পুরোদমে সচল করার লক্ষ্যে শিক্ষক ও প্রশাসনের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষকরা প্রশাসনকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
আজ (৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) সকালে উপাচার্যের দপ্তরের সিনেট কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার।
মূল ফোকাস একাডেমিক কার্যক্রম
উপাচার্য ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার বলেন, “ক্যাম্পাসে একটি চমৎকার একাডেমিক পরিবেশ বিরাজ করছিল। আমাদের সেই পূর্ণ গতির কার্যক্রমে ফিরে আসতে হবে।” তিনি জানান, ক্যাম্পাসে প্রতিদিন গবেষণা ও অ্যাকাডেমিক সভা-সেমিনার চলছিল এবং এই ধারা অব্যাহত রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান জানান, ইতোমধ্যে কয়েকটি বিভাগে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তিনি সকল বিভাগীয় সভাপতি ও ইনস্টিটিউট পরিচালককে নিজ নিজ একাডেমিক কমিটির সঙ্গে বৈঠক করে পুরোদমে ক্লাস-পরীক্ষা চালুর জন্য অনুরোধ করেন।
গুজব ও বাস্তবতা: ১৪৪ ধারা নিয়ে উপাচার্যের বক্তব্য
সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্পষ্ট করেন। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৪ ধারা ছিল না। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল ক্যাম্পাস সংলগ্ন গ্রামে। অথচ মিডিয়ায় ভুলভাবে প্রচার করা হয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪৪ ধারা চলছে, যা সত্য নয়।” তিনি শিক্ষার্থীদের ভুল তথ্যে প্রভাবিত না হয়ে विवेक ব্যবহারের আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থী কল্যাণ ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা
উপাচার্য শিক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে বলেন, তাদের আবাসন সংকট নিরসনে ১০ তলা বিশিষ্ট ১০টি নতুন আবাসিক হল নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, চবি মেডিকেল সেন্টারকেও নতুন করে সাজানো হচ্ছে। আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার সব ধরনের খোঁজখবর রাখা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, “সকলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব কার্যক্রম পরিচালনা করে যাবো।”
মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন অনুষদের ডিন, হলের প্রভোস্ট, বিভাগীয় সভাপতি এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তারা নিজ নিজ অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ তুলে ধরেন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।