
ভূমিকা: ধ্বংসস্তূপ থেকে স্বপ্নের সূচনা
ঔপনিবেশিক আমলে যে আধুনিক শিক্ষার বৃক্ষ রোপিত হয়েছিল, তার শিকড় এদেশের মাটির গভীরে প্রবেশ করতে পারেনি। পরবর্তী সময়েও সেই ধারা অব্যাহত ছিল; শিক্ষা পরিণত হয়েছিল বৈষম্য ও বঞ্চনার হাতিয়ারে। সীমিত বাজেট, অবকাঠামোগত অবহেলা এবং ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ফলে এ অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থা বিকশিত হওয়ার বদলে সংকুচিত হয়ে পড়েছিল। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা কেবল একটি ভূখণ্ডই দেয়নি, দিয়েছিল নিজস্ব শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার এক ঐতিহাসিক সুযোগ। স্বাধীনতার ঊষালগ্নে এক গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থার যে স্বপ্ন দেখা হয়েছিল, গত পাঁচ দশকের পরিক্রমায় তা এক বিশাল মহীরুহে পরিণত হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে। এই প্রবন্ধে আমরা स्वातंत्र্যের পর থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের শিক্ষার অগ্রযাত্রার একটি বস্তুনিষ্ঠ বিশ্লেষণ তুলে ধরব।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন: যুগান্তকারী পদক্ষেপসমূহ (১৯৭১-১৯৭৫)
স্বাধীনতার পর তৎকালীন সরকার উপলব্ধি করেছিল যে, একটি জাতির মেরুদণ্ড সোজা করতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। তাই যুদ্ধবিধ্বস্ত অর্থনীতির মাঝেও শিক্ষাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল।
- সংবিধান ও শিক্ষা: ১৯৭২ সালের সংবিধানে শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদে ‘একই পদ্ধতির গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষাব্যববস্থা’ প্রতিষ্ঠা এবং সকল শিশুর জন্য ‘অবৈতনীন ও বাধ্যতামূলক’ শিক্ষা নিশ্চিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়।
- প্রাথমিক শিক্ষা জাতীয়করণ: ১৯৭৩ সালে এক ঐতিহাসিক রাষ্ট্রীয় আদেশে দেশের ৩৬,১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়। এর মাধ্যমে প্রায় ১ লক্ষ ৫৭ হাজার শিক্ষকের চাকরি সরকারি হয়। গ্রামের তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়ার এটি ছিল এক অবিস্মরণীয় পদক্ষেপ।
- প্রথম শিক্ষা কমিশন: একটি আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, কর্মমুখী ও অসাম্প্রদায়িক শিক্ষাব্যবস্থা প্রণয়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে দেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও বিজ্ঞানীদের নিয়ে একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করা হয়। ১৯৭৪ সালে এই কমিশন যে যুগান্তকারী প্রতিবেদন পেশ করে, তা পরবর্তী সকল শিক্ষানীতির জন্য একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করেছে।
- বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ-১৯৭৩: দেশের প্রধান চারটি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বায়ত্তশাসন প্রদান করে মুক্তচিন্তা ও জ্ঞানচর্চার পথ সুগম করা হয়, যা আজও দেশের উচ্চশিক্ষায় এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত।
এই পদক্ষেপগুলো ছিল বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থার মূল ভিত্তি, যার উপর দাঁড়িয়ে আজকের সকল অর্জন।
লক্ষ্য নির্ধারণ ও পথচলা: নতুন সহস্রাব্দের দিকে (১৯৭৬-২০০০)
স্বাধীনতার প্রথম পর্বের পরবর্তী সময়ে শিক্ষার অগ্রগতি কিছুটা মন্থর হলেও থেমে থাকেনি। নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নিতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গৃহীত হয়।
- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা (১৯৮১): প্রাথমিক শিক্ষার ব্যবস্থাপনাকে আরও গতিশীল ও সুসংহত করতে একটি পৃথক অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা আইন (১৯৯০): বিশ্বব্যাপী ‘সবার জন্য শিক্ষা’ আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে এই আইনটি প্রণীত হয়, যা ১৯৯৩ সাল থেকে কার্যকর হয়। এর ফলে শিশুদের বিদ্যালয়ে পাঠানো আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক করা হয়।
- শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য ও উপবৃত্তি: বিদ্যালয়ে শিশুদের ধরে রাখতে ও ঝরে পড়া রোধ করতে ‘শিক্ষার বিনিময়ে খাদ্য’ কর্মসূচি এবং পরবর্তীকালে ছাত্রী উপবৃত্তি চালু করা হয়। এটি নারী শিক্ষায় এক নীরব বিপ্লব সাধন করে এবং বিদ্যালয়ে লিঙ্গ সমতা অর্জনে অভাবনীয় ভূমিকা রাখে।
- যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম: মুখস্থবিদ্যার পরিবর্তে শিশুদের প্রায়োগিক জ্ঞান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৯২ সাল থেকে যোগ্যতাভিত্তিক নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন শুরু হয়, যা ছিল শিক্ষাদানের পদ্ধতিতে একটি বড় পরিবর্তন।
এই সময়ে গৃহীত নানা প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো শক্তিশালী হতে শুরু করে এবং সাক্ষরতার হার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পায়।
গতিময় অগ্রযাত্রা: একুশ শতকের অর্জন (২০০১-২০২১)
একুশ শতকে এসে বাংলাদেশের শিক্ষাখাত এক নতুন যুগে প্রবেশ করে। সরকারের ধারাবাহিক বিনিয়োগ, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির সংযোজন শিক্ষাব্যবস্থায় দৃশ্যমান পরিবর্তন নিয়ে আসে।
- জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০: পূর্ববর্তী কমিশনগুলোর রিপোর্টের আলোকে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা হয়। এই নীতির অধীনেই প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু, প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত উন্নীত করার পরিকল্পনা এবং তথ্যপ্রযুক্তিকে শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ করার মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
- বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ: ২০১০ সাল থেকে প্রতি বছর ১ জানুয়ারি ‘বই উৎসব’-এর মাধ্যমে প্রাক-প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সকল শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে, যা বিশ্বে একটি অনন্য নজির।
- প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (PEDP): বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীর সহায়তায় সরকার PEDP-2, PEDP-3 এবং PEDP-4 এর মতো বৃহৎ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। এর আওতায় লক্ষাধিক শিক্ষক নিয়োগ, নতুন বিদ্যালয় ও শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান (SLIP) ফান্ড প্রদান এবং ডিজিটাল কন্টেন্ট তৈরির মতো বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদিত হয়েছে।
- শিক্ষক বাতায়ন ও মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম: শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও ডিজিটাল পাঠদানে সক্ষম করে তুলতে ‘শিক্ষক বাতায়ন’ নামক অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয়। পাশাপাশি প্রায় ৫৫ হাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ ও মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর সরবরাহ করে ডিজিটাল ক্লাসরুমের সূচনা করা হয়।
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিস্তার: এই সময়ে দেশে সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পায়। প্রতিটি উপজেলায় একটি করে স্কুল ও কলেজ সরকারিকরণ করা হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, কৃষি, চিকিৎসা ও অন্যান্য বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার সুযোগ জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সম্প্রসারিত হয়েছে।
রূপান্তরের পথে শিক্ষা: প্রেক্ষিত ২০২৫ ও ভবিষ্যৎ রূপকল্প
২০২১ সালের পর বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা একটি গুণগত রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এর মূল লক্ষ্য হলো তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর দেশ গড়ার পরবর্তী ধাপে অগ্রসর হয়ে একটি বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী সমাজ বিনির্মাণের জন্য দক্ষ নাগরিক তৈরি করা।
- নতুন শিক্ষাক্রম ২০২২: এটি বর্তমান সময়ের সবচেয়ে যুগান্তকারী পরিবর্তন। মুখস্থনির্ভর ও পরীক্ষাকেন্দ্রিক ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে অভিজ্ঞতা ও কার্যক্রমভিত্তিক শিখন পদ্ধতির প্রচলন করা হয়েছে। এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলো হলো:
- যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষা: ১০টি মূল যোগ্যতার উপর ভিত্তি করে শিক্ষাক্রম সাজানো হয়েছে।
- মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন: দশম শ্রেণির আগে কোনো পাবলিক পরীক্ষা নেই। ধারাবাহিক মূল্যায়ন (শিখনকালীন মূল্যায়ন) এবং সামষ্টিক মূল্যায়নের (বার্ষিক পরীক্ষা) সমন্বয়ে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
- বিষয়ভিত্তিক পরিবর্তন: বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ নবম-দশম শ্রেণিতে তুলে দেওয়া হয়েছে, ফলে সকল শিক্ষার্থীকে একটি সমন্বিত জ্ঞান ভিত্তির উপর দাঁড় করানো হচ্ছে।
- বাস্তবায়ন: ২০২৩ সাল থেকে ধাপে ধাপে এই শিক্ষাক্রম বিভিন্ন শ্রেণিতে বাস্তবায়িত হচ্ছে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বড় অংশ এর আওতায় চলে আসবে।
- চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি (PEDP-4): ২০১৮ থেকে ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়নের পর এর সময়কাল ২০২৫ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এর অধীনে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে দুই বছর মেয়াদী করা, শিক্ষকদের নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী ব্যাপক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ব্লেন্ডেড লার্নিং (অনলাইন ও অফলাইনের সমন্বয়) ব্যবস্থা শক্তিশালী করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
- ডিজিটাল ও স্মার্ট শিক্ষা: কোভিড-১৯ মহামারী শিক্ষায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহারকে ত্বরান্বিত করেছে। সংসদ টিভি, অনলাইন ক্লাস, ‘মুক্তপাঠ’ নামক ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম এখন শিক্ষার অপরিহার্য অংশ। দেশের ভবিষ্যৎ রূপকল্পের আওতায় শিক্ষায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার, প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ইউনিক আইডি প্রদান এবং একটি সমন্বিত শিক্ষা তথ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কাজ চলছে।
- নারী, প্রতিবন্ধী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর শিক্ষা: নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছে। বিদ্যালয়ে লিঙ্গ সমতা অর্জনের পর এখন উচ্চশিক্ষায়ও নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। অটিজম ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের মূলধারার শিক্ষায় অন্তর্ভুক্ত করতে ‘সমন্বিত শিক্ষা নীতিমালা’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। চা-বাগান, হাওর ও চরাঞ্চলের শিশুদের জন্য বিশেষায়িত স্কুল ও কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
বিশ্লেষণ: অর্জন ও ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ
গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের শিক্ষার অর্জন নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।
মূল অর্জনসমূহ:
- প্রাথমিক স্তরে ভর্তির হার প্রায় ৯৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
- শিক্ষায় লিঙ্গ সমতা অর্জিত হয়েছে, বিশেষত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে।
- ঝরে পড়ার হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে (২০১৯ সালে ১৮.৬%)।
- সাক্ষরতার হার প্রায় ৭৫ শতাংশে পৌঁছেছে।
- শিক্ষা অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে।
ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ:
- শিক্ষার গুণগত মান: সংখ্যার বিচারে সাফল্য এলেও শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
- শিক্ষক সংকট ও মানোন্নয়ন: যোগ্য শিক্ষকের অভাব এবং শিক্ষকদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও পেশাগত উন্নতির সুযোগ সীমিত।
- নতুন শিক্ষাক্রমের সফল বাস্তবায়ন: নতুন শিক্ষাক্রমের দর্শন অনুযায়ী শিক্ষকদের প্রস্তুত করা এবং প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
- সমন্বয়হীনতা: শিক্ষা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরগুলোর মধ্যে আরো কার্যকর সমন্বয় প্রয়োজন।
- চাকরির বাজারের সাথে সংযোগ: দেশের চাকরির বাজারের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো এবং কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানো জরুরি।
উপসংহার
স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের শিক্ষাখাত এক দীর্ঘ এবং বর্ণাঢ্য পথ পাড়ি দিয়েছে। সীমিত সম্পদ নিয়েও একটি দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে তৃণমূল থেকে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি অনন্য উদাহরণ স্থাপন করেছে। স্বাধীনতার অন্যতম মূল চেতনা, একটি গণমুখী শিক্ষার স্বপ্ন, আজ বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। বর্তমানে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ মুখস্থবিদ্যার অচলায়তন ভেঙে একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য একটি চিন্তাশীল, দক্ষ ও মানবিক প্রজন্ম গড়ে তোলার পথে হাঁটছে। সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও দৃঢ় প্রত্যয় ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে বাংলাদেশ তার বুদ্ধিদীপ্ত ও উন্নত সমাজ গড়ার স্বপ্ন পূরণে সক্ষম হবে, যার মূল ভিত্তি হবে একটি আধুনিক ও মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা।
-
স্বাধীনতার অর্ধশতাব্দী পেরিয়ে বাংলাদেশের শিক্ষা: একটি অগ্রযাত্রার ইতিবৃত্ত
ভূমিকা: ধ্বংসস্তূপ থেকে স্বপ্নের সূচনা ঔপনিবেশিক আমলে যে আধুনিক শিক্ষার বৃক্ষ রোপিত হয়েছিল, তার শিকড় এদেশের মাটির গভীরে
-
শিক্ষার্থীদের কল্যাণে চবিতে পুরোদমে ক্লাস-পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর (রবিবার) থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সকল একাডেমিক কার্যক্রম পুরোদমে সচল করার লক্ষ্যে শিক্ষক ও প্রশাসনের
-
শিক্ষার্থী-স্থানীয়দের সংঘর্ষ: চবির জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এলো ১৩ সিদ্ধান্ত
খোলা বই ডেস্ক | ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) সম্প্রতি শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর